ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সাতাশ পর্যন্ত টাইগারদের দায়িত্ব পাচ্ছেন টেইট ক্ষমা চাইলেন রিশাদ হোসেন টেস্ট থেকে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি কোহলির পর অবসরের ইঙ্গিত দিলেন রোহিত আইপিএল শুরু হলেও ফিরছেন না অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা রিয়ালের সাথে জয় পেলো বার্সা ইয়ামালের প্রশংসায় ফ্লিক ওয়েস্টহ্যামের কাছে হারের স্বাদ পেলো ম্যানইউ অভিযোগ-দুর্নীতির তথ্য জানাতে নতুন ব্যবস্থা সহযোগী শাহরিয়ার বিপ্লব এখনও অধরা রংপুরে ২৯ হাজার গ্রাহকের ১২১ কোটি টাকা লোপাট জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল দাবি গণঅধিকার পরিষদের নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে-আসিফ নজরুল পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা অনলাইনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে আ’লীগ, বন্ধ সব পেজ ৭৮ জনকে পুশইন ভারতের নৌবাহিনীর আওয়ামী লীগকে স্থায়ী নিষিদ্ধসহ ৩ দাবি তীব্র তাপদাহে দুর্বিষহ জনজীবন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আমরা আনন্দিত-ফখরুল একদিনে বজ্রপাতে শিশুসহ প্রাণ গেলো ১০ জনের
রাজধানীতে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি

তীব্র তাপদাহে দুর্বিষহ জনজীবন

  • আপলোড সময় : ১২-০৫-২০২৫ ০৪:১৭:০২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৫-২০২৫ ০৪:১৭:০২ অপরাহ্ন
তীব্র তাপদাহে দুর্বিষহ জনজীবন
ঢাকায় চলমান তীব্র গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ যেন জ্যৈষ্ঠের দহনজ্বালা। আর সেই জ্বালায় পুড়ছে গোটা দেশ। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম কিছুতে কমছে না। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। ফলে নাজুক হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। দিনে যেমন রোদের প্রতাপ, রাতে তেমন গরম হাওয়া। বাইরে প্রচণ্ড গরম, আর ঘরে লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে। খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর সহ জীবন-জীবীকার তাগিদে রাস্তায় বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষদের অবস্থা খুবই করুণ। এদিন রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। গরম উপেক্ষা করেই তাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে। গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষায় অনেককে দেখা গেছে পার্ক, রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে। আর কর্মজীবী মানুষেরও যেন কষ্টের শেষ নেই। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে গণপরিবহন সমস্যা। গরমে যানজট আর গণপরিবহনে ধাক্কাধাক্কি করে রীতিমতো যুদ্ধ করে অফিস যেতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় এখন প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা করে লোডশেডিং চলছে। ঢাকার বাইরে পরিস্থিতি আরো খারাপ। গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে বলে গ্রাহকরা জানিয়েছে। গরম আর লোডশেডিং মিলিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। মধ্যরাতেও দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হওয়ায় মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে বিদ্যুৎসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গরমের তীব্রতা না কমলে লোডশেডিং পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই রোদের প্রখরতা বাড়তে শুরু করে। দুপুরের দিকে তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। রাস্তায় লোকজনের চলাচল ছিল তুলনামূলকভাবে কম। যারা বাইরে বেরিয়েছেন, তাদের অনেকেই মাথায় কাপড় অথবা ছাতা দিয়ে রোদের তাপ এড়ানোর চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা। রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও দিনমজুররা জীবন ও জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডে পানির বোতল বিক্রেতা কামরুল ইসলাম জানান, বারবার শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। মাথার ওপর রোদ যেন আগুনের মতো পড়ছে। আমার নিজেরই শরীর খারাপ লাগছে, মাথা ঘুরছে। আমি নিজেই তিন বোতল পানি খেয়ে ফেলেছি। গরমে একদম টিকতে পারছি না। রিকশাচালক আজিজ মিয়া বলেন, সকাল থেকে শুধু পানি খাচ্ছি। খেতেও পারছি না, কাজও ছাড়তে পারছি না। রোদে বের হলেই মাথা ঘোরে। অন্যদিকে, চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকার রাস্তার পাশের ঠান্ডা শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে বেল, লেবু ও তোকমা শরবতের বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডের শরবত বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, এই গরমে মানুষ ঠান্ডা কিছু খুঁজছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই এক গ্লাসের পর আবারও নিতে চাইছে। সকালে বের হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্রাম নেই। তারপরও বিক্রি বেশ ভালো। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। সেজন্য সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করা, হালকা খাবার খাওয়া এবং সরাসরি রোদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার কথাও বলছেন তারা। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী কয়েক দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। বর্তমানে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি বা তার ওপরে রয়েছে। ঢাকায়ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এলাকাভেদে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কাছাকাছি কিংবা ছুঁই ছুঁই অবস্থা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। পার্বত্য অঞ্চলেও বয়ে যাচ্ছে সেই তাপদাহের প্রভাব। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল গুলোতে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর সহ যারা পাহাড়ে জুম কাজে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের খুব করুন অবস্থা যাচ্ছে। কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা, চিৎমরম, রাইখালী ইউনিয়ন এর কয়েকটি পাহাড়ী অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহের মধ্যেও মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে কাজ করে যাচ্ছে। এতে বয়স্ক ও শিশুরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেই সাথে পাহাড়ী দুর্গম এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত তঞ্চঙ্গ্যা, রিতা চাকমা, মংসুই মারমা সহ কয়েকজন জানান, প্রচন্ড রোদ সেইসাথে গরমে কোনভাবেই কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। অনেকে কাজ করতে গিয়ে তীব্র তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এতে করে তাদের দুর্বিষহ দিন কাটছে। সহসায় বৃষ্টিপাত না হলে আরো ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে তীব্র তাপদাহে দেখা দিয়েছে নানা রোগব্যাধি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তি বাড়ছে। তাই এইসময় শরীরের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি সতর্ক ভাবে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে চিকিৎসকরা। কাপ্তাই উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক রনি জানান, তীব্র তাপদাহে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই সকলকে এই তাপদাহ যতটা সম্ভব পরিহার করে চলতে হবে। এছাড়া বেশি করে পানি পান করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের না হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আর যদি শরীর অসুস্থতা দেখা দিলে দ্রুত সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। প্রচন্ড তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। শুকিয়ে যাচ্ছে গাছ। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। অনেকে তালের শাস খেয়ে তৃষ্ণা নিবারন করছেন। রোববার দুপুর বারোটার পর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ফাঁকা হয়ে পড়ছে বেনাপোল বাজার এলাকা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় টানা তিনদিন পড়ছে প্রচন্ড গরম। বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকসহ মাঠে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষেরা তাপদাহে হাপিয়ে উঠছে। ঘরের ফ্যানের বাতাসও যেন গরম হয়ে উঠছে। তারপরও রয়েছে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বেলা বাড়ার সাথেই বাড়ছে তাপপ্রবাহ। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছুঁই ছুঁই অবস্থা। তবে শ্রমজীবী ও স্থানীয়রা বলেন, গরমে কোনো কাজ করতে পারছেন না তারা। শহর এলাকায় গরমে নাভিশ্বাস বাড়ছে মানুষের। এদিকে তাপদাহ বাড়ার কারণে বেড়েছে তালের শাস বিক্রি। ৬ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিপিস শাস। প্রখর তাপপ্রবাহ আর তীব্র গরমে জনজীবন এক রকম বিপর্যস্ত। বর্তমানে সারাদেশ জুড়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। দিনে যেমন রোদের প্রতাপ, রাতে তেমন গরম হাওয়া। বাইরে প্রচণ্ড গরম, আর ঘরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ বারহাট্টা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের জনজীবন। দিনের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। এরই মধ্যে দীর্ঘসময় জুড়ে চলে লোডশেডিং। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এদিকে প্রচণ্ড গরম আর রোদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। কমেছে তাদের আয় রোজগার। জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে পুড়ে কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের। প্রকৃতির এমন বিরূপ আচরণে ভোগান্তিতে পড়ছে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ। উপজেলা সদরের কাশবন এলাকার দিনমজুর রহিছ মিয়া, নিজাম উদ্দিন, সাহতা ইউনিয়নের জীবন মিয়া, নিরঞ্জন সরকার, আসমা ইউনিয়নের নূরুল ইসলাম, সাহেব আলীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কাজে নামতে পারতাছি না। ওহন দাওয়ামারির মৌসুম কাজ পাইলেও গরমের কারণে ক্লান্ত হইয়া যাই, আগের মতন পরিশ্রম করতে পারি না গরমের কারণে হাপাইয়া উঠি তাই, মজুরিও পাই কম। আগে সারাদিনে ৬০০-৮০০ টাকা রোজ কামাইতে পারতাম কিন্তু অহন ৩০০-৪০০ টাকা কামাইতেই দম বাইরইয়্যা যায়। সারাদিনে যা কামাইতে পারি তাই দিয়াই কোন রহম সংসার চালাই। উপজেলা সদরের অটোরিকশা চালক কাশবন গ্রামের করিম মিয়া বলেন, গত তিন-চার দিন ধরে আয় রোজগার অনেক কমে গেছে। বেলা বড়ার সাথে সাথে তাপও বাড়ে। বেলা ১২টার পরে রাস্তায় কোনো যাত্রীই থাকে না। এমন চলতে থাকলে পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে কষ্ট হবে। তাছাড়া আমার সাত বছর বয়সী শিশু সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আজকের রোজগারের টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা করাব। বাউসী ইউনিয়নের মোয়াটি গ্রামের কৃষক জজ মিয়া বলেন, বৈশাখ মাস পুরাটাই ধরতে গেলে বৃষ্টি হয় নাই। ছোটকাল থেকে শুরু করে ৫১ বছর যাবৎ আমি কৃষি কাজের সাথে জড়িত কিন্তু বৈশাখ মাসে এমন তাপ কখনও হয় নাই। বৈশাখ মাসে ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে থাকতাম কিন্তু এ বছর পুরাই উল্টা বৃষ্টির আশায় থাকি কিন্তু বৃষ্টি হয় না। এখন ধান কাটার সময় কিন্তু রোদের প্রচন্ড তাপে মাঠে কাজ করতে খুব পরিশ্রম হয়। গত দিন পনেরো আগে বৃষ্টি হওয়ার পরে এ সপ্তাহে তাপ আরও বেড়ে গেছে। বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গরমজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে ও সুস্থ থাকতে হলে বেশি করে পানি পান করতে হবে। বাসি-পচা খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়াও ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে হবে। প্রচণ্ড গরম পড়ায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে স্যালাইনসহ সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ আছে। সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স